চৈত্রের মাঠ
মগজ যখন খুবলে খায় গদ্যের শকুনেরা,
তখন পদ্যের জোছনায় চৈত্রের মাঠ ভাসলেই কি?
এন্ড্রোমিডা তারকাপুঞ্জের দূরত্ব পার করে দেয়া
এক নিমিষের বিষয় হয়ে গেলেও,
তা নিয়ে কাব্য করা ঢের দুঃসাহস!
ইন্দুস নদীর পারে তাঁবু গাড়া
বেশ একরোখা সেনাপতিকেও
কলমের আঘাতে ঘায়েল করতে পারি-
বারবার এই এতদিন পরে এসেও!
নক্ষত্রপুঞ্জের গতিবিধি বরাবরই অবাক করে,
কিন্তু আমার তৃষ্ণা তো মৃত জোনাকির প্রতি!
আলো দিয়ে মিলিয়ে যায় অচেনায়!
জোনাকিদের জিজ্ঞেস করবো ভাবি,
'কোন তারা থেকে আলো নাও তোমরা?'
তার আগেই মারা যায়!
আমিও ফিরে আসি চৈত্রের মাঠে।
শকুনে খুবলে খাওয়া মগজ নিয়ে দাড়িয়ে
অবাক চোখে দেখি, চৈত্রের মাঠ ভেসে যায় ভরা জোছনায়!
কেবল আমার কলমটা হারিয়ে গেছে!
জোনাকিরা খুঁজছে, পেয়ে যাব শীঘ্রই!
অনেক আলোকবর্ষের লেখা বাকি।
নক্ষত্রদের গল্প জমে আছে ছায়াপথ জুড়ে!

Comments
Post a Comment